পুরনো ইট-সুরকি দিয়ে রেললাইন নির্মাণ

a267রাজশাহী রেলস্টেশনে ইট-সুরকি ও খোয়া দিয়ে তৈরি করা হয়েছে রেলপথ

রাজশাহী স্টেশনে পাথরের বদলে পুরনো ইট-সুরকি-খোয়া দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে রেললাইন। ফলে শুরুতেই মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণভাবে তৈরি করা হচ্ছে লাইনটি। ইন্দোনেশিয়া থেকে আসা নতুন ১৪টি কোচ রাজশাহী স্টেশনে যোগ হবে। ওই কোচ রাখার জায়গা না থাকায় লাইনটি নির্মাণ করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যস্থাপক খায়রুল আলমের নির্দেশে এমন অব্যবস্থাপনা কাজ হয়েছে।

তবে অভিযোগের বিষয়ে জানতে মহাব্যবস্থাপক খায়রুল আলমের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, রাজশাহী স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের প্রায় নিচ থেকেই পূর্ব দিকে নতুন এই রেললাইনটি নির্মাণ করা হয়েছে। নির্মাণকৃত এই রেললাইনের পাশেই এখনো পড়ে আছে ভাঙা পুরনো ইট-সুরকি ও খোয়া। এগুলোই ব্যবহার করা হয়েছে এ রেললাইনে।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তর সূত্র মতে, এক হাজার ১০০ মিটার আয়তনের এ রেললাইনের নির্মাণকাজ শেষ করা হয়েছে। রেললাইনটির নির্মাণকাজ দেখে চোখ ছানাবড়া হয়ে যাচ্ছে রেল শ্রমিকদের। তাঁদের দাবি, এমন অব্যবস্থাপনা আর অনিয়মের মাধ্যমে রেললাইন নির্মাণের দৃশ্য এই প্রথম তাঁরা দেখলেন। তাঁরা বলছেন, যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ওয়েম্যান  বলেন, এই রেললাইনটি নির্মাণ করা হচ্ছে কোনো টেন্ডার ছাড়াই। রেলওয়ের শ্রমিকদের দিয়েই লাইনটির নির্মাণকাজ শেষ করা হয়েছে; কিন্তু কোনো উপকরণ বাইরে থেকে কেনা হয়নি। রেললাইনের স্লিপার, হুক থেকে শুরু করে সবই পুরনো জিনিসপত্র। এমনকি এক টুকরো পাথরও ব্যবহার করা হয়নি। আবার গোটা লাইনটিতেই ব্যবহার করা হয়েছে পুরনো ইটের খোয়া আর সুরকি।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী নাজিব কায়সারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘কী পরিমাণ অর্থ এখানে ব্যয় হচ্ছে সেটা বলতে পারব না। এটা জিএম স্যারই ভালো বলতে পারবেন। তবে যা কিছু হচ্ছে সবই রেলওয়ের নিজস্ব উপাদান ও যন্ত্রাংশ দিয়ে। পুরনো ইট এবং সুরকিগুলোও রেলওয়ের। বাইরে থেকে কোনো কিছুই এখন পর্যন্ত কেনা হয়নি।’

রেললাইনটি কতটা ঝুঁকিপূর্ণ হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যেহেতু এটি মেইন লাইন নয়, কাজেই অতটা ঝুঁকি থাকবে না এখানে।’ সূত্র: কালের কন্ঠ