
আজ সোমবার (৭ নভেম্বর) সকালে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন খারিজ করে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৪ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন।
এর আগে গতকাল রোববার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিসেবে সংসদ সদস্যদের দায়িত্ব পালন এবং গভর্নিং বডির বিশেষ কমিটির বিধান অবৈধ বলে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আবেদনের শুনানি শেষ হয়। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।
ইউনুছ আলী আকন্দ সাংবাদিকদের জানান, ‘শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছেন এমপিরা স্থানীয় নির্বাচিত প্রতিনিধি। তাই তাদের সভাপতি পদে থাকতে কোনো অসুবিধা নেই। জবাবে বলেছি, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক অধ্যাদেশে (১৯৬১) এমপিদের বিষয়ে কিছু নেই। তাই তারা থাকতে পারবেন না।’ কমিটি প্রবিধানমালা ২০০৯ এর ৫ (২) এবং ৫০ ধারাকে বাতিল করে রায় দেন বিচারপতি জিনাত আরা ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
এর ফলে এ বিধান অনুযায়ী সংসদ সদস্যরা স্কুল-কলেজের গভর্নিংবডির সভাপতি হতে পারবেন না বলে জানান রিট আবেদনকারীর আইনজীবী ড. ইউনুছ আলী আকন্দ।
হাইকোর্টে রিট আবেদনের পর আইনজীবী ইউনুছ আলী জানিয়েছিলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের প্রবিধানমালা ২০০৯-এর ৫ ও ৫০ ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিলো। এর মধ্যে ৫ ধারা হচ্ছে এমপিদের সভাপতি পদ ও ৫০ ধারা হচ্ছে বিশেষ কমিটি গঠন নিয়ে। আদালত দু’টি ধারাই বাতিল ও সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করেছেন।হাইকোর্টের রায়ের পর আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।