প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে। আর ফলাফলের দিকে দারুণভাবে আগ্রহী দৃষ্টি রেখেছিল বাংলাদেশে ক্ষমতার বাইরে থাকা বিরোধীদল বিএনপি- জামায়াতের সমর্থকেরা। তারা আশা করেছিল হিলারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট হলে তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটবে। তবে তাদের সব স্বপ্ন ভেঙে দিয়ে হোয়াইট হাউজের চাবি উঠেছে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের হাতে।
ভিনদেশী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে ঘিরে এর আগে বাংলাদেশে কখনও এত আগ্রহ দেখা যায়নি। বিএনপি সমর্থকদের ধারণা ছিল হিলারির সঙ্গে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহম্মদ ইউনূসের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কারণে তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে আখেরে বিএনপির লাভ হবে।
বিএনপি সমর্থকদের কেউ কেউ তো হিলারিকে নতুন প্রেসিডেন্ট ধরে নিয়ে আগামী বছর বাংলাদেশের নেতৃত্বেও দলের প্রধান বেগম খালেদা জিয়া আসছেন এমনটা প্রচার করতে শুরু করে দিয়েছিলেন।
এমনকি কিছুদিন আগে হিলারির জন্মদিনে বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের পক্ষ থেকে তাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে এসেছিলেন।
ওবামার স্ত্রীর প্রকাশ করা নির্বাচনী ভিডিও চিত্রে খালেদা জিয়াকে দেখা যাওয়া নিয়েও উচ্ছ্বাসের অন্ত ছিল না বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে। বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে সেই ভিডিও প্রচার করতে দেখা গিয়েছিল।
বিএনপির বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন তার ফেইসবুকে বেগম খালেদা জিয়া ও হিলারি ক্লিনটনের করমর্দন করা একটি ছবি পোস্ট করে লিখেছিলেন, ‘ইনশাল্লাহ ২০১৭ সালে জাতি বেগম খালেদা জিয়া ও হিলারি ক্লিনটনের একই ঐতিহাসিক ছবি দেখবেন। শুরু হবে নতুন যুগের।’
যদিও কর্মী সমর্থকদের মতো এতোটা উচ্ছ্বাস ছিল না বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের মধ্যে। তারা বলেছিলেন, হিলারি বিজয়ী হলে বিএনপির জন্য ভালো হবে এমনটা মনে করার কারণ নেই। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের মতো কোনো দেশের সরকারে কে থাকলো- না থাকলো তাতে তাদের পররাষ্ট্রনীতিতে খুব বেশি পরিবর্তন আসে না। বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মর্শিয়া ব্লুক বার্নিকাটও বিষয়টি স্পষ্ট করে বলেছিলেন, তার দেশে ক্ষমতায় যেই আসুক না কেন-বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে না।