কর্ণফুলি টানেলের নির্মাণ কাজ শুরু হচ্ছে শুক্রবার

tanel_90702বহুল প্রতীক্ষিত কর্ণফুলি টানেলের নির্মাণ কাজ শুরু হচ্ছে শুক্রবার। ওইদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং যৌথভাবে এ টানেলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।

এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে বন্দর ও বাণিজ্য নগরী চট্টগ্রামের যানজট অনেকটাই নিরসন হবে। বদলে যাবে চট্টগ্রামের চেহারা। শহরের সঙ্গে নদীর অন্য প্রান্তের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হবে। এতে করে এ নদীতে নির্মিত অন্য দুই সেতুর ওপর চাপ কমবে। প্রস্তাবিত সোনাদিয়া সমুদ্রবন্দরের সঙ্গেও যোগাযোগ স্থাপিত হবে।

অ্যাপ্রোচ রোডসহ ৪ দশমিক ৮৯ কিলোমিটার দীর্ঘ টানেলটি নির্মিত হলে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার জাতীয় মহাসড়কের যোগাযোগ ব্যবস্থায় ব্যাপক উন্নতি হবে।

সূত্র জানায়, টানেলটির পূর্ব প্রান্তে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার ও পশ্চিম প্রান্তে ৭৪০ মিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হবে। এটি কর্ণফুলি নদীর তলদেশ থেকে ৪৩ মিটার নিচ দিয়ে যাবে।

গত বছর ২৪ নভেম্বর প্রকল্পটির অনুমোদন দেয় একনেক।

২০১৩ সালে কর্ণফুলি টানেল নির্মাণ প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই করে সিসিসিসি ও হংকংয়ের ওভিই অরূপ অ্যান্ড পার্টনারস। এর পর টানেল নির্মাণে প্রস্তাব দেয় সিসিসিসি। একই বছরের ২২ ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত হয় সমঝোতা স্মারক। এর পর চীন সরকার নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে সিসিসিসিকে মনোনয়ন দেয়।

প্রথমে ৬৫৬ দশমিক ১৮ মিলিয়ন ডলার এবং এর পরে সেতু কর্তৃপক্ষ গঠিত ইনডিপেনডেন্ট কনসালট্যান্টের সুপারিশ অনুযায়ী কিছু নতুন আইটেম যুক্ত করে ৬৭৯ দশমিক ১৬ মিলিয়ন ডলারের সংশোধিত প্রস্তাব দেয় চীনা প্রতিষ্ঠানটি।

প্রস্তাব মূল্যায়নে গঠিত কমিটি মূল্যায়ন ও নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে প্রস্তাবিত (৬৭৯ দশমিক ১৬ মিলিয়ন) ডলার থেকে ৩৩ দশমিক ১৬ মিলিয়ন ডলার কমানো হয়। পরে পরামর্শকদের প্রস্তাবিত এবং বিশেষজ্ঞ দল ও আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার সুপারিশ অনুযায়ী আরও কিছু নতুন কাজ যুক্ত করে চুক্তিমূল্য দাঁড়ায় ৭০৫ দশমিক ৮০ মিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে ৬৭৫ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে চিনের এক্সিম ব্যাংক। বাকি অর্থ আসবে জিওবি (রাষ্ট্রায়ত্ত) খাত থেকে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হবে জিটুজি ভিত্তিতে।