আলুর কেজি যখন ১০০ টাকা

a40রাজধানীর নিত্যপণ্যের বাজারে শীতকালীন সবজি উঠেছে। দাম সাধারণের নাগালের বাইরে। নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়, মুলা ৭০ টাকায় আর মাঝারি আকারের একটি ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। সবুজ মিষ্টিকুমড়া প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। পালংশাকের আঁটি ২০-২৫ টাকা। লালশাকসহ অন্যান্য শাকের আঁটি ১৫-২০ টাকা। মহানগরীর বনানী কাঁচাবাজারের গতকালের চিত্র এটি। অনেকে বলেন সবজির বাজার এখনো চড়া। এ সময় দাম সহনীয় থাকার কথা। ফলে ক্রেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এভাবে আর কতদিন। প্রতিদিনই কোনো না কোনো পণ্যের দাম বাড়ছে। একবার দাম বাড়লে কমার কোনো লক্ষণ দেখা যায় না। গতকাল রাজধানীর মিরপুর ও বনানী কাঁচাবাজার ঘুরে  দেখা যায়, প্রতিকেজি শিম বিক্রি হয়েছে ৯০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০ টাকা। এ ছাড়া করলা ৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৬০ টাকায়, গাজর ১০ টাকা বেড়ে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ১০ টাকা বেড়ে ৫০ টাকা, কচুর লতি ১০ টাকা বেড়ে ৫০ টাকা, ঝিঙ্গা ২০ টাকা বেড়ে ৬০ টাকা, বরবটি ৩০ টাকা বেড়ে ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ২০ টাকা বেড়ে ৬০ টাকা, কাঁকরোল ১০ টাকা বেড়ে ৭০, পেঁপে ৫ টাকা বেড়ে ২৫ টাকা, পটোল ১০ টাকা বেড়ে ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ বাজারের সবজি বিক্রেতা আবদুল হান্নান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, গত সপ্তাহের চেয়ে এ সপ্তাহে অন্তত ৫ টাকা করে দাম কমেছে। কাঁচাকলার হালি ২৫ থেকে ৩০ টাকা, গাজর ৮০ টাকা, বাঁধাকপি এক পিস ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, টমেটো ৮০ টাকা, লাউ প্রতিটি ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে আকারভেদে বেশিও আছে। লম্বা বেগুন ৬০ টাকা, গোল বেগুন ৮০ টাকা, উচ্ছে ৬০ টাকা, পটোল ৫০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া কাঁচামরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকায়।

মিরপুর বাজারের সবজি বিক্রেতা মজিদ মিয়া বলেন, বাজারে শীতের সবজি আসতে শুরু করেছে। এগুলোর দাম একটু বাড়তি। তবে আগামী দুই তিন সপ্তাহ পর শীতকালীন সবজি পুরোপুরি বাজারে এসে পড়লে দাম কমে যাবে। এদিকে এক সপ্তাহের ব্যবধানে আবার ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে। বিশেষ করে সয়াবিন তেল প্রতি লিটারে বেড়েছে ৬ টাকা। ফলে ৯৮ টাকার এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল এখন ১০৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ৩ টাকা কমে পুরান আলু বিক্রি হচ্ছে ২২ টাকায়। এদিকে আমদানি করা রসুন ১৮০ টাকা, দেশি রসুন ১৫০ টাকা এবং আদা ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।  পিয়াজের দাম গত সপ্তাহে বেড়ে যা হয়েছিল বর্তমানে সে দামেই বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজারে দেখা গেছে, রুই প্রতিকেজি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, শিং ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, পাঙ্গাশ ১৬০  থেকে ১৭০ টাকা এবং কৈ ২০০ থেকে ৩০০ টাকা  কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। নিষেধাজ্ঞার কারণে বাজারে ইলিশের  দেখা মেলেনি। এ ছাড়া গরুর মাংস ৪৪০ থেকে ৪৫০ টাকায়, খাসির মাংস ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মিরপুর বাজার ঘুরে দেখা যায়, রুই মাছ ২৮০ টাকা, দেশি রুই আকারভেদে ৩৫০-৪০০ টাকা, কাতলা ৩০০ টাকা, দেশি কাতলা ৪০০ টাকা, বোয়াল ৩৮০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ টাকা, পাবদা ৬০০ টাকা, শিং ৬০০ টাকা, টেংরা ৪০০ টাকা, ছোট চিংড়ি ৩৫০ টাকা, সমুদ্রের কোরাল ৫০০ টাকা, দেশি কোরাল ৪০০ টাকা, গলদা চিংড়ি মাঝারি ৭৫০ টাকা, বড় এক হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ছোট মাছের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। মাংস বিক্রেতা মোহাম্মদ রফিক জানান, গরুর রানের মাংস (হাড় ছাড়া) গত সপ্তাহের চেয়ে ২০ টাকা বেড়ে ৫৫০ টাকায়, হাড়সহ ৪৫০ টাকা, খাসির মাংস ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া বয়লার মুরগি ১৩০-১৩৫ টাকা, দেশি মোরগ ৩৩০ টাকা, পাকিস্তানি কক ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ডিমের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লবণের দাম কেজিতে তিন টাকা বেড়েছে।