
কিন্তু তার চোখে-মুখে এখনো আতংকের ছাপ। তাকে কোনও প্রশ্ন করলে শুধু ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে, কথা বলে না। তবে তার মায়ের কাছে সে তার দুই খেলার সাথীর খোঁজ করেছে। তাদের সঙ্গে সে খেলা করতে চায়।
শিশুটি এখন শুধু তার মা ও নানির সঙ্গে থাকতে চায়। এ দু’জন ছাড়া অপরিচিত কেউ এমকি চিকিৎসক -নার্সরাও তার সামনে গেলে আতংকে কান্নাকাটি করছে।
শিশুটির মা জানান, সে এখন ফল, দুধ ও হরলিকস খাচ্ছে। অপরিচিত কেউ সামনে গেলেই ভয়ে কান্নাকাটি করছে। সে তার দুই খেলার সাথী- কাকলী ও রনির কথা তার মায়ের কাছে জিজ্ঞেস করেছে। তার মা তাকে বলেছেন, আমরা বাড়ি থেকে একটু দূরে আছি। বাড়ি গেলে তুমি তাদের সঙ্গে খেলতে পারবে।
ঢাকা মেডিকেলের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের (ওসিসি) সমন্বয়ক ডা. বিলকিস বেগম জানান, মেয়েটির শারিরীক অবস্থার উন্নতির দিকে। শনিবার সকালে গাইনি বিভাগের অধ্যাপক সালমা রউফ ও শিশু সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক আশরাফুল হক কাজল তাকে দেখে গেছেন।
ওই দুই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক শিশুটির খাবারে কিছুটা পরিবর্তন আনতে বলেছেন। তারা তাকে ডাবের পানি, কলা ও জুস খেতে দিতে বলেছেন। সে ভাতও খেতে পারবে।
তার সংক্রমণের মাত্রা কমায় ক্ষত শুকাতে শুরু করেছে। এ কারণে ব্যথাও কমেছে। তাকে যে হাই-এন্টিবায়োটিক ও হাই-প্রোটিন দেয়া হচ্ছিল তা আরও ৭ দিন চলবে। পরে হাসপাতালের ৯ সদস্যের চিকিৎসক বোর্ড তার স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে। এদিকে, সন্ধানী ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ শাখা শিশুটির পরিবারকে এক লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা দিয়েছে।
শনিবার বেলা ২টার দিকে ঢামেকের ওসিসি সমন্বয়ক ডা. বিলকিস বেগমের কক্ষে শিশুটির মায়ের হাতে এ অর্থ তুলে দেন সন্ধানী ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ শাখার সভাপতি কামাল আহমেদ।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন-সন্ধানীর কেন্দ্রীয় পরিষদের সাধারন সম্পাদক শিবলী শাহরিয়ার, সন্ধানীর উপদেষ্টা ও ঢামেকের বার্ন ইউনিটের চিকিৎসক ড. হেদায়েত আলী খান এবং ডা. পার্থ শংকর পাল।