বোলিং অ্যাকশনটা হুবহু ও রকম না হলেও লাসিথ মালিঙ্গার মতোই কিছুটা সাইড আর্ম অ্যাকশন কামরুল ইসলামের। তাতে অমিল কিছু থাকলেও থাকতে পারে। ব্যাটিংয়ে কিন্তু দুজনের দারুণ মিল! সেটি রেকর্ডের পাতাতেও! টেস্টে নিজের প্রথম তিন ইনিংসে যে তিন-তিনটি ডাক পেয়েছিলেন মালিঙ্গা। টেস্ট ক্যারিয়ারে এখনো রানের খাতা খুলতে পারলেন না কামরুল।
কামরুলকে আজ আলাদাভাবে তুলে আনা আরেকটি কারণে। টেস্ট ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত তিন ইনিংসে ব্যাট করেছে এক রানও করতে পারেননি। টেস্ট অভিষেক থেকে টানা তিনটি শূন্য খুবই বিরল ঘটনা। টেস্ট ইতিহাসেই যখন এমন ‘কীর্তি’ আছে মাত্র ছয়জনের।
টেস্টে নিজের প্রথম তিন ইনিংসে কামরুলের মতোই তিনটি ডাক পেয়েছিলেন মালিঙ্গা। অস্ট্রেলিয়ায় অভিষেক টেস্টে জোড়া শূন্যের পর নিউজিল্যান্ড সফরে কেয়ার্নসেও প্রথম ইনিংসে শূন্য। দ্বিতীয় ইনিংসে আর ব্যাট করতে হয়নি।
টেস্টে নিজের প্রথম তিন ইনিংসে শূন্য পাওয়ার প্রথম ঘটনা টমি ওয়ার্ডের সৌজন্যে। দক্ষিণ আফ্রিকার এই সাবেক ক্রিকেটার ১৯১২ সালে অভিষেকের পর আসলে নিজের চার ইনিংসেই শূন্য করেছিলেন। তবে শেষ ইনিংস অপরাজিত থাকায় টানা চার ইনিংসে শূন্য করার রেকর্ডটি করা হয়নি তাঁর।
টেস্ট ক্রিকেটকে এমন কিছু দেখতে অপেক্ষা করতে হয়েছে ৬৬ বছর। এবারের ‘কীর্তি’ ব্রেন্ডন ব্রেসওয়েলের। নিউজিল্যান্ডের এই ডানহাতি পেসারও নিজের প্রথম চার ইনিংসে কোনো রান করতে পারেননি। তবে তিনিও দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত ছিলেন।
এরপরের ঘটনাটি ক্রিকেট ইতিহাসেরই অন্যতম বিস্ময়। মারভান আতাপাত্তুর মতো স্টাইলিশ ব্যাটসম্যান ক্যারিয়ারের প্রথম ৩ ইনিংসেই শূন্য রানে আউট হয়েছেন, ভাবা যায়! আতাপাত্তুর লজ্জা সেখানেই শেষ হয়নি। ক্যারিয়ারের চতুর্থ ইনিংসে ১ রান করে আউট হয়ে পরের দুই ইনিংসে আবারও ডাক! প্রথম ৬ ইনিংসে ১ রান করা সেই আতাপাত্তুই ক্যারিয়ার শেষ করেছেন পরে সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি টেস্ট রান নিয়ে।
এরপরের তিন শূন্যের ঘটনা শ্রীলঙ্কারই মালিঙ্গার সৌজন্যে। সেটি ২০০৪ সালের ঘটনা। নিউজিল্যান্ডের ডানহাতি পেসার মার্ক গিলেস্পি ২০০৭ সালেও টানা তিন ইনিংসে শূন্য পেয়েছেন। এরপরই কামরুল।
কামরুল এখন নিশ্চয় চাইবেন এ রেকর্ডটা যেন এখানেই থামে। কারণ দ্বিতীয় ইনিংসেও যদি শূন্য রানে আউট হন, তাহলে যে বিব্রতকর এক রেকর্ডের মালিক হয়ে যাবেন! ক্যারিয়ারের প্রথম চার ইনিংসেই শূন্য রানে আউট…অলক্ষুনে কথা না বলা ভালো!