আবার হকারদের দখলে গুলিস্তানের ফুটপাত

a36ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন গুলিস্তানের সড়ক ও ফুটপাতে বৃহস্পতিবার হকার উচ্ছেদ করেছে। এই নিয়ে পুলিশের সঙ্গে হকারদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। সেখানে একাধিক যুবককে অস্ত্রের মহড়া দিতেও দেখা গেছে।

তবে গতকাল শুক্রবার ফের দখল হয়ে গেছে গুলিস্তানের সড়ক ও ফুটপাত। শুরু হয়েছে চিরচেনা যানজট। অন্যদিকে পুলিশও এসব হকারদের কিছু বলছে না।

গতকাল গুলিস্তান ঘুরে দেখা যায়, মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারের প্রবেশ মুখ থেকে গুলিস্তানের বঙ্গবন্ধু স্কয়ার পর্যন্ত হকাররা বসে আছে। এছাড়া গোলাপশাহ মাজারের চারপাশের সড়কে বসেছে হকাররা। দেখলে বোঝার উপায় নেই যে একদিন আগেই এখানে বড় ধরনের অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অনেক হকার নতুন করে ছাউনি বানাচ্ছেন।

পুরো গুলিস্তানের ফুটপাত ও সড়কের অর্ধেকের বেশি এখন হকারদের দখলে। বসানো হয়েছে কাপড়, জুতা, ফলসহ নানা পণ্যের বাজার। পাতাল সড়ক বলে পরিচিত গুলিস্তান আন্ডারপাসের প্রবেশপথ বেলা একটায় বন্ধ দেখা গেছে। এ কারণে সেখান দিয়ে কোনো পথচারী চলাচল করতে পারেননি।

গুলিস্তানের এক ফল বিক্রেতা বলেন, ‘অনেক বছর ধরে গুলিস্তানের ফুটপাত-সড়কে ফল বিক্রি করি। এ জন্য প্রতিদিন চাঁদা দিতে হয়। এখানে না বসলে বসবো কোথায়? উচ্ছেদ অভিযানের সময় আমার দোকানের মাল নষ্ট করা হয়েছে। এখন না বসলে বউ-পোলাপান নিয়ে খাবো কী?’

ছিন্নমূল হকার্স সমিতির নেতা কামাল সিদ্দিকী জানান, বৃহস্পতিবার পাতাল মার্কেটের লোকজন নগরভবনে ঝামেলা করে। এরপর সিটি করপোরেশনের লোকজন এসে রাস্তার হকারদের উচ্ছেদ করে দেয়। ভুল বুঝাবুঝির কারণে উচ্ছেদের ঘটনা ঘটে।

তিনি জানান, গুলিস্তান, ফুলবাড়িয়া, বায়তুল মোকাররম ও পল্টন এলাকায় প্রায় সাড়ে তিন হাজার হকার রয়েছে। উচ্ছেদ করলে এদের অনেক অসুবিধা হবে। এমনিতেই বৃহস্পতিবারের অভিযানে প্রত্যেক হকারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।

গুলিস্তানের ফুটপাত ও সড়ক দখল হলেও পুলিশকে কিছু বলতে বা তত্পরতা চালাতে দেখা যায়নি। সিটি করপোরেশনের এক কর্মকর্তা জানান, গুলিস্তানে আবারও বড় ধরনের উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে।

এদিকে আজ শনিবার দুপুরে মেয়র সাঈদ খোকন ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের নিয়ে জরুরি মতবিনিময় করবেন। সভায় বৃহস্পতিবারের অভিযান এবং হকারমুক্ত ফুটপাত ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ বিষয়ে আলোচনা শেষে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

বৃহস্পতিবার উচ্ছেদ অভিযান শেষে মেয়র ঘোষণা দেন, কাউকে সড়ক দখল করতে দেয়া হবে না। প্রয়োজনে উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত রাখা হবে।

সুত্র: ইত্তেফাক