১৯৫০ সাল। মিলি টেলর মরিসন নামের এক মডেল জনপ্রিয় হয়ে উঠছেন। এখন ৮৬ বছর বয়সে এসেও তিনি সৌন্দর্য, জৌলুস কিছুই হারিয়ে ফেলেননি। সেজেগুজে বসে পড়েছেন আর এক বার বিয়ের পিঁড়িতে। জীবনের এই পর্যায়েও তাঁর মন যেন কচিকাঁচাদের মতোই তাজা। নাতনিরা আদর করে ঠাম্মাকে ডাকে নানা মিলি। ১৯৯২ সালে শেষ হয়ে যায় তাঁর ৪১ বছরের বিবাহ জীবন। কিন্তু তাতে কী, মন যখন চাঙ্গা দুটো মনের মিলন ঘটতে দোষ কোথায়! তখনও এতটা জনপ্রিয় হয়ে উঠতে পারেননি যখন মডেল ছিলেন। নাতনিরা ফেসবুকে মিলির বিয়ের ছবি পোস্ট করতেই তিনি জনপ্রিয় তো হলেনই, সঙ্গে হয়ে উঠলেন ভাইরালও।
দীর্ঘ সময়ের বন্ধু হ্যারল্ডকে বিয়ে করেছেন মিলি। হ্যারল্ড-এর বয়স ৮৫ বছর।বন্ধু হ্যারল্ডের শারীরিক অসুস্থতার সময় মিলিই তাঁর দেখভাল করেন। হঠাৎ করে মিলি হ্যারল্ডকে প্রশ্ন করেন ‘নার্সিংহোম ছেড়ে তুমি আমার কাছে থাকবে?’ আর তার পরে হ্যারল্ড সুস্থ হলে তাঁরা দু’জনে একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নেন। নিজের বিয়ের পোশাকের ডিজাইন করেছেন মিলি নিজেই। তার পরে ডিজাইনার মার্কো হল পোশাকটি তৈরি করেন। তাঁর এক নাতনি জানিয়েছেন, যখন মিলি বিয়ের ভেনুতে ঢুকলেন তখন সকলের নজর ছিল তাঁর দিকে। তবে এই সময়ে হ্যারল্ডের মুখটা ছিল বিশ্বের দুর্লভ জিনিসগুলোর মধ্যে একটা। ২৫ বছর পর মিলি আর এক বারের জন্য তাঁর জীবনসঙ্গী পেয়েছেন। এই ব্যাপারে মিলির নাতনিরা এবং তাঁর পরিবারের সকলেই খুব উচ্ছ্বসিত। হাতে ফুলের তোড়া আর বেগুনি রঙের গাউনে মিলির মন যেন বার বার বলছিল, মডেল চিরকাল মডেলই থাকেন। নিউ জার্সিতে জিওন হিল ব্যাপ্টিস্ট চার্চে পরিবারের ২০০ জন মানুষকে সাক্ষী রেখে বিয়ে করলেন মিলি। জীবনের এই নতুন অধ্যায়ে পা দিয়ে উচ্ছ্বসিত মিলি জানিয়েছেন, ‘‘আমি সবসময় কোল্ড ক্রিম আর আফ্রিকান সি বাটার ব্যবহার করেছি।’’ পাশাপাশি জীবনে যে কখনও তিনি ধূমপান এবং মদ্যপান করেননি সে কথাও জানিয়েছেন চিরযুবা এই মডেল। এই খুশির দিনে আত্মহারা মিলি আরও বলেছেন, ‘‘নতুন জীবন পেয়ে আমি খুব খুশি। হ্যারল্ড সব সময় বলে যে সে আমাকে খুবই ভালবাসে। এখন আমার দিকে সে তাকায় আর বলে ওঠে আমরা এখন স্বামী স্ত্রী।’’