পড়াশোনার পাশাপাশি কৈশর বয়সে খেলাদুলার সাথে সাথে সংষ্কৃতি অঙ্গনেও, নিজেকে তৈরী করেছে আরমান । দীর্ঘ্যদিন নাচের জগতে রাজত্ব্য করার পর অভিনয় জগতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার সপ্ন দেখেন এ তরুন। অসম্ভব সিনেমা পোকাও ছিলেন তিনি। তাই বলে অভিনেতাদের অভিনয় হুবহু অনুকরনের ভূত মাথায় চেপে বসে। ফলাফল যা হওয়ার তাই হল। তাই এ তরুনের মনে সিনেমা জগতে ক্যারিয়ার গড়ার বীজ বপন করে থাকে।
অভিনয়ের প্রতি অদম্য উৎসাহের কারনে লোকনাট্যদল নামের একটি থিয়েটারে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। সেখানে টানা পাঁচ বছর অভিনয়ের ওপর প্রশিক্ষন নিয়ে মুষ্টিবদ্ধ স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করেন। এর পাশাপাশি মিডিয়ার বিভিন্ন অঙ্গনে কাজ করে নিজে শিক্ষাটা চালিয়ে নিতে থাকেন আরমান।
সবশেষ নিজের যোগ্যতার বিচার করতে যুক্ত হন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক অনন্ত জলিলের ” ঊদ্দ্যোগে টেলিকমিউনিকেশন রবি নিবেদিত প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান ”ট্যালেন্ট হান্ট” প্রতিযোগিতায় চূড়ান্ত পর্বে বিজয়ী হন তিনি। বাংলাদেশের সিনেমা জগতের সব থেকে বিগ বাজেট এর মুভি ”দ্যা স্পাই” এর জন্য নির্বাচিত হন।
আরমান এর অভিনয় দেখে মুগ্ধ হয়ে চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব গাজী মাজহারুল আনোয়ার বলেন , চলচ্চিত্র শিল্প নতুন এক অভিনয় শিল্পি পেতে যাচ্ছে যা সম্পূর্ন বিপরীত চরিত্র যা বাংলাদেশের মধ্যে কেউ কখনো করার সাহস দেখাইনি। একমাত্র আরমান তা করে দেখিয়ে দিলেন। অভিনয় তো অভিনয় তা যে কোন চরিত্র হোক না কেন। প্রতিযোগিতার আরেক বিচারক চিত্রনায়িকা বর্ষা ও তার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
ঢাকা জেলায় জন্ম নেয়া আরমান দুই ভাই-বোন এর মধ্যে বড়। মা আসমা আক্তার গৃহিনী হলেও বাবা সারোয়ার হোসেন একজন ব্যাবসায়ী এবং ছোট বোন তার পড়াশুনা নিয়ে আছেন।
আশা করছি শিগগিরই নিজের প্রতিভা দিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের জায়গা করে নিতে পারবে। বিচারকদের এত প্রশংসা শুনে নিজের মধ্যে আত্ম বিশ্বাসের পাল্লাটা যেন আকাশ ছুয়ে গেছে আরমানের। তাই চলচ্চিত্রের কাজে নতুন গতি নিয়ে মাঠে নামতে চাচ্ছেন তিনি। তিনি আরো জানালেন , নির্মাতারা সুযোগ দিলে সত্যিই তিনি নতুন কিছু উপহার দিতে পারবেন।